বাংলাদেশের সামাজিক রীতিনীতি ও আইনকানুনের প্রেক্ষাপটে, একজন পুরুষের জন্য তার বৈবাহিক সঙ্গিনী ছাড়া অন্য কোন নারীর সাথে হোটেলে থাকা বিতর্কিত বিষয়। কুমিল্লায়ও এই ব্যাপারটি প্রযোজ্য। সম্প্রতি, কুমিল্লার একটি হোটেল থেকে একজন পুরুষ ও তার গার্লফ্রেন্ডকে আটক করার ঘটনা ঘটেছে, যা এই বিতর্ককে আরও তুঙ্গে তুলেছে।
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো কুমিল্লায় গার্লফ্রেন্ডের সাথে হোটেলে থাকার আইনি দিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট।
গার্লফ্রেন্ড নিয়ে হোটেলে থাকা যশোর
বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুসারে, "যে ব্যক্তি, স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন নারীকে, যাকে সে জানে যে সে বিবাহিতা, ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে বা জেনে যে তা ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে, কোন স্থানে নিয়ে যায় বা আটকায়, সে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা জরিমানা, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।"
এই ধারা অনুসারে, একজন বিবাহিত পুরুষের জন্য তার স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন নারীর সাথে হোটেলে থাকা আইনত নিষিদ্ধ। অবিবাহিত পুরুষদের জন্য এই ধারা প্রযোজ্য নয়। তবে, হোটেল কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করলে, অবিবাহিত পুরুষ ও নারীকে তাদের পরিচয় ও সম্পর্কের প্রমাণ দেখাতে হতে পারে।
সামাজিক প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজে, একজন পুরুষের জন্য তার বৈবাহিক সঙ্গিনী ছাড়া অন্য কোন নারীর সাথে হোটেলে থাকা নিন্দনীয় বলে মনে করা হয়। অনেকেই এটিকে 'অনৈতিক' ও 'অশ্লীল' আচরণ বলে মনে করেন। সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ অবিবাহিত পুরুষ ও নারীকে একই রুমে থাকতে দেয় না।
উপসংহার
কুমিল্লায় গার্লফ্রেন্ডের সাথে হোটেলে থাকার ব্যাপারটি আইনি ও সামাজিক দিক থেকে জটিল। আইনিভাবে, অবিবাহিত পুরুষদের জন্য এটি নিষিদ্ধ নয়, তবে সমাজের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এটি বিতর্কিত।
Post a Comment
Please Do Not Enter Any Spam Link In Comment Box;