Join Telegram Channel Motivation Speech || বই পড়তে মন বসবেই || 100% গ্যারান্টি √
DMCA.com Protection Status

বই পড়তে মন বসবেই ||
Motivational Speech ||

100% গ্যারান্টি
Motivation Speech || বই পড়তে মন বসবেই || 100% গ্যারান্টি √
Motivation
আপনার কি পড়তে ইচ্ছা করে না ! পড়তে বসলেই বোরিং লাগে , বিরক্তিকর লাগে !

নিশ্চয়ই বোরিং লাগে , পড়তে ভালো লাগে না , সেজন্যই তো আপনি এই লেখা টি পড়ছেন . আমি  কি ঠিক বলছি ?


আসলে কি জানেন , বর্তমানে পড়াশোনা থেকে মনো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অনেক উপায় রয়েছে . 

যেমন:- 
  • ফেসবুক 
  • টুইটার 
  • হোয়াটসঅ্যাপ 
  • ইউটিউব 
  • টিকটক ইত্যাদি 

এইগুলো যদি আপনি ঠিকমত ব্যবহার না করেন তাহলে এইগুলোই আপনার জীবনে অন্ধকার নিয়ে  আসার জন্য যথেষ্ট .

 আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে স্কল করতে থাকি . তারপর বোরিং লাগ্লে একটু টিকটক এ গিয়ে মজার ভিডিও দেখি . তারপর হয়তো অনেকেই ইউটিউবে গিয়ে একটা আড়াই ঘন্টার পুরো মুভি দেখে ফেলি . এভাবেই আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে ফেলি পড়াশোনার বাইরে .


তারপর যখন পড়তে বসি , তখন আর মন  বসতে চায় না .  মনটা ছটফট করতে থাকে ,  একবার এ কথা মনে পরে , একবার ও কথা মনে পড়ে .


কিভাবে সহজেই পড়াশোনায় মন বসানো যায় তা কয়েকটি পয়েন্ট এর মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করছি .


পয়েন্ট নাম্বার 01 :-

বড় করে ভাবুন ছোট করে শুরু করুন
Think Big, Start Small

আপনি নিশ্চয়ই অনেকক্ষণ একটানা পড়ার চেষ্টা করেন কিন্তু মনোযোগ হারিয়ে যাওয়ায় তা আর সফল হয় না। তাই এখন থেকে ছোট একটি সময় নির্ধারণ করে পড়া শুরু করুন। প্রথম কয়েকদিন ২০ মিনিট পড়ুন ও ১০ মিনিট বিরতি নিন। এরপর আবার ২০ মিনিট পড়ুন ও আবার বিরতি নিন।

ধীরে ধীরে,কয়েকদিন পর ৩০ মিনিট, এরপর ৪০ মিনিট, এরপর ৫০ মিনিট- এভাবে সময়টিকে বাড়িয়ে নিন ও নিজের ‘মস্তিষ্ককেঅভ্যস্ত করান’। দেখবেন আপনি ঠিকই একটি সময় পরে একটানা পড়তে পারছেন।


পয়েন্ট নাম্বার 02 :-



পড়তে বসার জায়গা, 

আমাদের মধ্যে অনেকেই বেডের উপর পড়তে বসি . আর এমন ইস্টাইলে বসি , বুঝাই যায় না বই পড়ছি নাকি সিনেমা দেখছি . বেডের উপর শুয়ে বা হেলান দিয়ে অথবা কাত হয়ে শুয়ে পড়ার চেষ্টা করি . এরকম ভাবে কিছুক্ষণ পড়ার পর মনে হয় ,  এবার একটু বিশ্রাম নেওয়া দরকার .

আর ওই বিশ্রামেই কেটে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা . তাই আপনাকে অবশ্যই চেয়ার টেবিলে বসে পড়তে হবে . আমি জানি চেয়ারে বসে পড়াটা অতটা আরামদায়ক হবে না . প্রথম দিকে হয়তো আপনি পড়তে বসতেই পারবেন না . কিন্তু মনে রাখবেন পড়াশোনা একটি সাধনার বিষয় . 

তাই সব সময় এখানে আরাম পাবেন না . ভালো নম্বরের জন্য আমাদের একটু কষ্ট করতেই হবে . তবে চেয়ারে বসার সময় একেবারে হেলেদুলে বা কাত হয়ে বসলে চলবে না . সোজা হয়ে বসে টেবিলে বই রেখে পড়ার অভ্যাস করতে হবে .আর এমন একটা জায়গায় বসতে হবে যেখানে খুব কম শব্দ আসে . 

পয়েন্ট নাম্বার 03 :-

সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে পড়তে বসবেন


খাতা, বই, নোট, কলম, পেন্সিল, স্কেল, রাবার, শার্পনার, জ্যামিতি বাক্স, স্ট্যাপলার, গ্রাফ পেপার ইত্যাদি সবকিছু আগে থেকে একসাথে নিয়ে পড়তে বসুন। ভুলে রেখে এসেছেন বলে বারবার টেবিল থেকে উঠতে হলে মনোযোগ হারিয়ে যায়।

পয়েন্ট নাম্বার 04 :-

সব সময় চিন্তা করুন এটা খুবই সহজ 

এই বিষয়টি চিন্তা করা খুবই কার্যকরী এবং শক্তিশালী . আপনি কি জানেন কেন আপনার পড়ায় মন বসাতে চায় না ? কারণ পড়ার সময় আপনার মানসিক যন্ত্রণা হয় . আর ওই মানসিক যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য আপনি পড়া থেকে দূরে থাকেন বা থাকতে চান .

এই কারণে পড়াশোনা আপনার কাছে কঠিন লাগে . এর জন্য যেটা করতে হবে , যখন আপনি পড়তে বসবেন তখন মনে মনে বলবেন , আর এটা তো খুবই সহজ একটা বিষয় . এই অধ্যায়টা এতই সহজ যে আমি তো 40-50 মিনিটেই শেষ করে ফেলব , সে যতই কঠিন হোক না কেন .

একটা কথা মনে রাখবেন , কোন অধ্যায় বা কোন কাজ সহজ ও হয়না আবার কঠিন ও হয়না . এটা শুধুমাত্র আপনার উপর নির্ভর করে যে , আপনি কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন . 

যদি মনে করেন কাজটা সহজ তাহলে ওই কাজটা যতই কঠিন হোক না কেন আপনার কাছে ধীরে ধীরে সহজ হতে থাকবে . আর যদি মনে করেন কাজটা কঠিন তাহলে সত্যি ধীরে ধীরে ওই কাজটি আপনার কাছে কঠিন হতে থাকবে .

তাহলে বুঝা যাচ্ছে , আপনি যদি সহজ মনে করেন তাহলে সহজ আর কঠিন মনে করলে কঠিন . তাই যদি মনে করতে হয় , সহজ মনে করবেন তাহলে ধীরে ধীরে পড়াশোনাটা আমাদের কাছে সহজ মনে হবে . শুধু যে পড়াশোনা তা কিন্তু নয় যে কোন কাজের ক্ষেত্রে আপনি এই সিস্টেমটি প্রয়োগ করতে পারেন . 

পয়েন্ট নাম্বার 05 :-

লিখতে বা বলতে হবে 

যখন আমরা ক্রিয়েটিভ ভাবে না পড়ি তখন দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই বোর হয়ে যায় . তাই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে যে পয়েন্টগুলো পড়লেন তা না দেখে লিখতে বা বলতে হবে . যদি সব পয়েন্ট মনে পড়ে তাহলে দেখবেন আপনার মধ্যে কনফিডেন্স লেভেল অনেকগুণ বেড়ে যাবে . 

এছাড়াও কিছুটা পড়ার পর নিজেই নিজেকে বোঝাতে হবে , তাহলে ওই অধ্যায় কোথায় কি সমস্যা আছে তা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন . এটাও পড়ার প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়াবে .

পয়েন্ট নাম্বার 06 :-

 নিজেকে পুরস্কৃত করতে হবে 

এটা আমার কাছে খুবই প্রিয় একটি পড়ার প্রতি মন বসানোর টেকনিক . যদি আপনাকে সবসময় পড়ায় মন বসাতে হয় তাহলে এটা সব থেকে ভালো টিপস . 


এই টিপসের দুটি ধাপ :-

প্রথম , আপনি যা পড়বেন ওই পড়াটাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে হবে . ধরুন আপনি আজ সকালে 100 টি প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করবেন . তাহলে আপনি এই প্রশ্নগুলো কে 25 , 25 , 25 , 25 চারটি ভাগে ভাগ করে নিন .

এবার আপনি পড়া শুরু করুন . যখনই প্রথম 25 টা প্রশ্ন মুখস্থ করে ফেলবেন . তখন নিজেকে নিজে পুরস্কৃত করুন . পুরস্কার যেকোনো কিছুই হতে পারে . যেমন :- 5 মিনিট আপনি বিশ্রাম নিতে পারেন অথবা একটা চকলেট খেতে পারেন অথবা আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন , তাহলে ওই পাঁচ মিনিটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ঘুরে আসতে পারেন . তবে মনে রাখবেন শুধুমাত্র মাত্র 5 মিনিট . অথবা এমন কিছু করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনার মন খুশি হয়ে যায়. 

তারপর আবার পড়া শুরু করতে হবে এবং পরের 25 টা  প্রশ্ন মুখস্ত করতে হবে . আবার পাঁচ মিনিটের জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করতে হবে .

এভাবে পড়লে আপনি পুরো সময়টা ইন্টারেস্টের সাথে পড়তে পারবেন এবং কখন যে ওই 100 টি প্রশ্ন মুখস্ত হয়ে যাবে তা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন না .

পয়েন্ট নাম্বার 07 :-

পড়াশোনায় বাধাদানকারী উপাদানগুলো দূরে রাখতে হবে 

যখনই আমরা পড়তে বসি তখন আমাদের কানে ভেসে আসে ফোনে আসা নতুন নোটিফিকেশনের শব্দ , অন্য ঘরে টিভির আওয়াজ , ফ্রেন্ড সার্কেল এন্টারটেইনমেন্ট করার শব্দ . 

বর্তমানে আমরা এমন হয়ে গেছে একটা নোটিফিকেশনের শব্দ সকালের পুরো সময়টা নষ্ট করে দিতে পারে . তাই পড়ার সময় ফোন এবং অন্যান্য ডিভাইস দূরে সাইলেন্ট মোডে রাখতে হবে . আর অন্য কোন আওয়াজ এলে দরজা বন্ধ করে পড়তে হবে . অথবা আশেপাশের লোকেদের শব্দ করতে মানা করতে হবে .

পয়েন্ট নাম্বার 08 :-

পড়তে বসার সময় জল এবং ছোটখাট টিফিন নিয়ে বসতে হবে যাতে পড়ার মাঝে ছোটখাটো প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাইরে গিয়ে দু ঘন্টা সময় নষ্ট করে পরে এসে আফসোস করতে না হয় .

আমাদের মন সবসময় চায় রিলাক্স করতে . তাই একবার পড়ার টেবিল থেকে উঠে গেলে পুনরায় মনকে বশ মানিয়ে নতুন করে পড়া শুরু করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায় . 

তো বন্ধুরা এই টিপসগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি এতোটুকু যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন . এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ .

Post a Comment

Please Do Not Enter Any Spam Link In Comment Box;

Previous Post Next Post